Radio Khaled Information Technology Blog
This is the best tutorial, News, Health, Technology, Islamic, Information, Women Health, Hadith, etc. radiokhaled.blogspot.com
Radio Khaled Information Technology Blog
This is the best tutorial, News, Health, Technology, Islamic, Information, Women Health, Hadith, etc. radiokhaled.blogspot.com
Radio Khaled Information Technology Blog
This is the best tutorial, News, Health, Technology, Islamic, Information, Women Health, Hadith, etc. radiokhaled.blogspot.com
Radio Khaled Information Technology Blog
This is the best tutorial, News, Health, Technology, Islamic, Information, Women Health, Hadith, etc. radiokhaled.blogspot.com
Radio Khaled Information Technology Blog
This is the best tutorial, News, Health, Technology, Islamic, Information, Women Health, Hadith, etc. radiokhaled.blogspot.com
Thursday, June 7, 2018
কেন ফ্রিল্যান্সিং সেরা?
শিক্ষাজীবন শেষে নিজের পেশা বেছে নিতে হয়। ব্যক্তিজীবন, পরিবার আর পেশাজীবনের সবচেয়ে ভাল সমন্বয়কেই ভাল থাকা বলে মনে করি আমি। এই ভাল থাকার জন্য প্রধানত যে তিনটি জিনিসের প্রয়োজন তা হচ্ছে- স্বাধীনতা, স্বাচ্ছন্দ এবং পর্যাপ্ত আয়। চলুন দেখি ফ্রিল্যান্স-আউটসোর্সিংয়ের ক্ষেত্রে আমরা কতটুকু সুবিধা এ ক্ষেত্রগুলোতে পেতে পারি।
১. আপনি সিদ্ধান্ত নেবেন আপনি কখন কাজ করবেন। উদাহরণ হিসেবে বলা যায়- আমি প্রতিদিন কাজ করি রাত এগারোটা থেকে সকাল ছয়টা, দুপুর পর্যন্ত ব্যক্তিগত ও পারিবারিক কাজ করে দুপুর থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত ঘুমাই। এভাবে কাজ করতে আমাকে কেউ বাধ্য করেনি। আমার কাছে এই শিডিউলটা সুবিধাজনক মনে হয় তাই এভাবে করি। কোনদিন ইচ্ছা হলো আজ রাতে কাজ করবো না, অন্য সময়ে করবো, তাতেও কেউ নিষেধ করবে না। কিন্তু আগের ৯ বছরের কর্মজীবেন আমি কখনো ভাবতে পারিনি অফিসে বস্কে বলবো আজ আমি সকালে অফিসে না গিয়ে সন্ধ্যায় যাব বা দুদিন অফিসে না গিয়ে বন্ধুদের সাথে আড্ডা দেবো!
২. আপনিই সিদ্ধান্ত নেবেন কোথায় বসে কাজ করবেন। এক্ষেত্রেও আমার নিজের কথা বলা যায়। আমার পার্সোনাল ডেস্কটা আমার বেডরুমেই। আপনি কোন চাকরি করেন কিংবা অন্য কোন ব্যবসা করেন, বেড়াতে ইচ্ছা হলেই আপনি বেড়াতে যেতে পারবেন না। যদি চাকরী হয় তাহলে ছুটির জন্য অপেক্ষা করতে হবে, ব্যবসা হলে আপনার প্রতিষ্ঠান ফেলে যেতে হবে। এরকম ভ্যাগাবন্ড ফ্যামিলি তৈরি তো দূরের কথা, এমন কিছু স্বপ্ন দেখতেও দ্বিধা হবে! এরা সবাই বছরের পর বছর দেশে বিদেশে বেড়াচ্ছে। কিন্তু এদের কাজ থেমে থাকে না। এরা যেখানে যায় এদের অফিসও সেখানে। একজন ফ্রিল্যান্সার হিসেবে আপনার ল্যাপটপ আর একটা ছোট্ট ট্রাভেল ব্যাগই যথেষ্ট। আপনাকে অফিসে যেতে হবে না, বরং অফিসই আপনার সাথে যাবে। কাজের জন্য আর কতটা স্বাধীনতা চান?
৩. লোকাল বিজনেসের সাথে এটার সবচেয়ে বড় পার্থক্য হচ্ছে, এক্ষেত্রে আপনার ব্যবসাক্ষেত্র বিশ্বব্যাপি। ফলে গ্রাহকসংখ্যা বহুগুণ বেশি। এজন্য কাজেরও কোন অভাব নেই। এখানে আপনি সার্ভিস প্রোভাইডার এবং আপনিই সিদ্ধান্ত নেবেন কাকে আপনার সার্ভিস প্রোভাইড করবেন আর কাকে না। ধরা যাক, আপনি কোন একটা শহরে একটা দোকান দিয়েছেন। ব্যবসা বেশ ভালই চলছে, কিন্তু আপনার শহরে হঠাৎ কোন প্রাকৃতিক বিপর্যয় হলে হয়তো বেশ কিছুদিনের জন্য আপনার ব্যবসায় মন্দা শুরু হয়ে যাবে। কিন্তু ফ্রিল্যান্স আউটসোর্সিংয়ের ক্ষেত্রে আপনার ব্যবসা শুধু আপনার শহরকেন্দ্রিক নয়, তাই ঝুঁকিও কম। যেমন- আমার একজন ক্লায়েন্ট নিউ জার্সিতে থাকেন। কিছুদিন আগে হ্যারিকেন স্যান্ডিতে তাঁর এলাকা তছনছ হয়ে গেছে। এরকম অবস্থায় তাঁর কাজও হুট করে কিছুদিনের জন্য স্থগিত হয়ে গিয়েছিল। কিন্তু আমার অন্যান্য শহরের বা অন্যান্য দেশের ক্লায়েন্টদের কাজ ঠিকই চলেছে।
ফ্রিল্যান্সিংয়ের মানে এই নয় যে আপনাকে সারাজীবন একা একাই কাজ করতে হবে। আমি নিজেও একা কাজ করি না। আমাদেরও অফিস আছে। তবে সেটাও ভার্চুয়াল অফিস। ক্রিয়েটিভ এলিয়েন্সের কে কোথায় বসে কাজ করলো সেটা নিয়ে আমাদের কোন মাথাব্যাথা নেই। কাজ ঠিকঠাক হলেই হলো। আমাদের প্রতিষ্ঠানের হয়ে বাংলাদেশ, ভারত, ফিলিপাইন এবং চেক প্রজাতন্ত্রের ১৪ জন ছেলেমেয়ে যার সুবিধামত জায়গায় বসে নিয়মিত কাজ করছে এটা ভাবতেও ভাল লাগে। আমরা চাই যে জায়গাটিতে বসে আমাদের এমপ্লয়িরা যেখানে সবচেয়ে স্বাচ্ছন্দে কাজ করতে পারেন, যেভাবে এবং যে পোষাকে ক্রিয়েটিভিটি দেখাতে সেভাবে বসেই কাজ করুক। মুদি দোকান থেকে কর্পোরেট প্রতিষ্ঠান, চাকুরিতে কোথাও এটা কল্পনাও করা যায় না।
আউটসোর্সিং কি?
ইদানিং বাংলাদেশে খুব বেশি মাতামাতি হচ্ছে আউটসোর্সিং (Outsourcing) নিয়ে। রাতারাতি বড়লোক হবার বাহারি ও রকমারি বিজ্ঞাপনের মাধ্যমে মানুষকে আকৃষ্ট করার পায়তারায় মত্ত আছে একটি শ্রেনী। অনলাইনে আয় করার এইসব বাহারি বিজ্ঞাপনে আকৃষ্ট হয়ে প্রতারিতও হচ্ছেন অনেকে। অনেকে আউটসোর্সিং ও অনলাইনে আয় বিষয় দুটোকে একসঙ্গে গুলিয়ে ফেলছেন। যখন কোন ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান তাঁর নিজের বা প্রতিষ্ঠানের কাজ ইন-হাউজ না করে বাইরের কাউকে দিয়ে করিয়ে নেয় তখন সেটি হচ্ছে আউটসোর্সিং। আর ফ্রিল্যান্সিং (Freelancing) হচ্ছে যখন কোন ব্যক্তি কোন নির্দিষ্ঠ প্রতিষ্ঠানে কাজ না করে চুক্তিভিত্তিক বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে কাজ করে থাকেন তখন তাঁকে ফ্রিল্যান্সার বলা হয়ে থাকে। বাংলাদেশে আউটসোর্সিং নিয়ে যে আলোচনা হচ্ছে সেটা মূলত ফ্রিল্যান্সারদের মাধ্যমে উন্নত বিশ্বের আউটসোর্সিং। ব্যবসায়িকভাবে আউটসোর্সিং সার্ভিসের শিল্পটা এখনো সেভাবে গড়ে ওঠেনি। এটা ঠিক আউটসোর্সিং সার্ভিস দেয় এমন অনেক ব্যবসা প্রতিষ্ঠান আছে এবং দিন দিন এটি বাড়ছে। অনেকের মধ্যে ফ্রিল্যান্সার হিসাবে কাজ শুরু করে উদ্যোক্তা হবার প্রবণতাও দেখা যাচ্ছে, এটি সত্যিই আশা ব্যঞ্জক।
(১) প্লাগিন মেনু (এডভান্স WordPress)
(২) ইউজার মেনু (এডভান্স WordPress)
(৩) টুলস মেনু (এডভান্স WordPress)
(৪) সেটিংস মেনু (এডভান্স WordPress)
(৫) লেখার সেটিংস পরিবর্তন (এডভান্স WordPress)
(৬) পড়ার বা reading সেটিংস (এডভান্স WordPress)
(৭) আলোচনা বা Discussion Settings (এডভান্স WordPress)
(৮) ছবি বা মিডিয়া সংক্রান্ত সেটিংস (এডভান্স WordPress)
(৯) পার্মালিংক সেটিংস (এডভানন্স WordPress)
(১০) কিছু কথা (এডভান্স WordPress)
(৯) *মেনু তোরী ও কাস্টমাইজার*
"Widgets" সাবমেনুর পর আছে "Menus" সাবমেনু। এই মেনু দিয়ে নতুন মেনু তৈরী করা যায় এবং সেই মেনু থিমের কোন জায়গায় দেখাবে সেটাও ঠিক করা যায়। পেজের মেনু হতে পারে, ক্যাটাগরির মেনু হতে পারে এমনকি এক্সটার্নাল লিংকের মেনু হতে পারে। আবার ইচ্ছে করলে একটা মেনুতে সব ধরনের আইটেম রাখা যায় (যেমন ক্যাটাগরি, পেজ, লিংক ইত্যাদি)।
নতুন মেনু তৈরী
প্রথমে "Menu" সাবমেনুতে গিয়ে "Create new menu" লিংকে ক্লিক করলে নিচের মত আসবে এখানে Menu Name ফিল্ডে আপনার ইচ্ছেমত মেনুটির নাম দিয়ে ডান দিকে "Create Menu" বাটনে ক্লিক করলেই মেনুটি তৈরী হয়ে গেল। এবার মেনুটিতে নতুন আইটেম যোগ করা যাবে।
"Create new menu" লিংকের বামেই দেখুন একটা ড্রপডাউন আছে সেখানে আগের তৈরী মেনুগুলি দেখাবে। সেখান থেকে যেকোন একটি মেনু সিলেক্ট (Select বাটনে ক্লিক করে আনতে পারেন) করে সেখানেও মেনু আইটেম যোগ করতে পারেন। যেমন আমি আমার তৈরী একটি মেনুতে দেখুন কিভাবে মেনু আইটেম যোগ করি। যেমন নিচের ছবিতে দেখুন বামের "Links" স্লাইডার থেকে একটি এক্সটার্নাল লিংক মেনু আইটেম হিসেবে যোগ করতে কি করেছি। প্রথমে "URL" ফিল্ডে লিংকটি (khaledprivate.ml) দিয়েছি এবং লিংকটির টেক্সট তার নিচের ফিল্ডে দিয়েছি এবার "Add to Menu" বাটনে ক্লিক করলেই ডান দিকের "left menu" তে আইটেমটি মেনু আইটেম হিসেবে যোগ হয়ে যাবে।
"Links" এর উপরের স্লাইডটি হল আপনার তৈরী সকল পেজের (যেগুলি Page মেনু থেকে তৈরী করেছেন) তালিকা সেখান থেকে এক বা একাধিক পেজ সিলেক্ট করেও "Add to Menu" করা যায়। অথবা নিচের "Categories" স্লাইডার থেকে আপনার ব্লগের যেকোন ক্যাটাগরি/বিভাগকেও যেকোন মেনুতে মেনু আইটেম হিসেবে যো করতে পারেন।
** প্রত্যেকটি থিমে নির্দিষ্ট সংখ্যক মেনু সাপোর্ট করে যেমন আমি যেটা দিয়েছি সেখানে দুটি মেনু দেয়া যাবে। ইচ্ছে করলে এই সংখ্যা বাড়ানো যায়। থিম ডেভেলপমেন্ট টিউটোরিয়ালে দেখাবো কিভাবে একটা থিমে অনেক অনেক মেনু বসানোর ব্যবস্থা করা যায়।
নিচের ছবিতে দেখুন আমার পূর্বের তৈরী মেনু "left menu" তে আমি দুটি পেজ, একটি ক্যাটাগরি এবং একটি এক্সটার্নাল লিংক মেনু আইটেম হিসেবে যোগ করেছি।
আইটেম যোগ হলে "Save Menu" বাটনে ক্লিক করে মেনুটি সেভ করুন। নিচের "Menu Settings" অপশনে "Automatically add new top-level pages to this menu" এটা টিক দিয়ে রাখলে নতুন টপ লেভেল পেজ যোগ করলে অটোমেটিক এই মেনুতে ঐ পেজটি একটি মেনু আইটেম হিসেবে যোগ হবে।
আর "Theme locations" এ দেখুন দুটি অপশন আছে একটি top অপরটি left মেনু। যেহেতু আমি "Secondary menu in left sidebar" টিক দিয়েছি তাই এই মেনুটি বাম দিকে সাইডবারে দেখাবে। যদি উপরেরটি অর্থ্যাৎ "Top primary menu" এটা টিক মার্ক দিতাম তাহলে মেনুটি উপরে দেখাত।
এবার সাইটের ফ্রন্ট ইন্ডে দেখুন মেনুটি নিচের মত বামে সাইডবারে দেখাবে।
"Menu" সাবমেনুর পর আছে "Header" এবং "Background" সাবমেনু। এগুলিতে ক্লিক করে দেখুন থিমের "Customize" লিংকে নিয়ে যাবে এবং সাইটের ব্যাকগ্রাউন্ড এবং হেডার ছবি পরিবর্তন করার অপশন দিবে। এগুলিতো একটু উপরেই আলোচনা করলাম।
সবশেষে আছে "Editor" সাবমেনু। এখান থেকে activated (সক্রিয়) থিমটির যেকোন ফাইল ব্রাউজার থেকে সরাসরি সম্পাদনা করতে পারবেন। হবহু প্লাগিনের এডিটর থেকে যেমন প্লাগিনের ফাইল এডিট করা যায় ঐরকম।
"select theme to edit" ড্রপডাউন থেকে যে থিমটি এডিট করতে চান সেটা সিলেক্ট করুন এবং ঐ বরাবর নিচেই দেখুন ঐ থিমের সব ফাইলে তালিকা চলে এসেছে। এবার যে ফাইল এডিট করতে হবে সেটার উপর ক্লিক করলেই মাঝের টেক্সটএরিয়াতে ফাইলটি খুলবে এবং এডিট করে নিচের "Update File" লিংকে ক্লিক করে ফাইলটি আপডেট করুন |
(৮) অপিয়ারেন্স মেনু
ওয়ার্ডপ্রেসের থিম হচ্ছে টেমপ্লেট বা বাহ্যিক অবয়ব। আপনার ওয়ার্ডপ্রেস ব্লগ/সাইট কেমন দেখা যাবে কিংবা কোন জায়গায় কোন জিনিস দেখাবে এসব কিছু থিম দিয়েই ঠিক করা হয়। বাই ডিফল্ট ৩/৪ থিম ওয়ার্ডপ্রেসে থাকে এবং একটি সক্রিয় (Active) থাকে। এগুলি থিম একটা একটা করে একটিভেট করে দেখতে পারেন কোনটা কেমন দেখা যায়। এগুলি একটাও যদি পছন্দ না হয় তাহলে ফ্রি থিম পাওয়া যায় সেগুলি ডাউনলোড করে ইনস্টল দিতে পারেন। বাই ডিফল্ট থাকা থিম গুলি অবশ্য অনেক ভালো, কাস্টমাইজ করার প্রায় ১ হাজার অপশন আছে। এসব নিয়ে এই টিউটোরিয়াল
http://localhost/tutorial/wp-admin/themes.php এই লিংকে গেলেই ইনস্টলকৃত সব (বাই ডিফল্ট) থিমগুলির তালিকা দেখতে পারবেন। "Appearance" মেনুর "Themes" সাবমেনুর লিংক এটা।
যেকোন থিমের উপর মাউস নিয়ে গেলে "Activate" বাটন আসবে। পছন্দমত যেকোন একটি নির্বাচন করলেই সাথে সাখে আপনার সাইটের ফ্রন্টইন্ড পরিবর্তন হয়ে নির্বাচনকৃত থিমের মত হয়ে যাবে। যেটা বর্তমানে সাইটে একটিভ আছে সেটাতে মাউস নিয়ে গেলে কোন "Activate" বাটন আসবেনা। বর্তমানে active থিম সবার প্রথমে দেখাবে যেমন উপরের ছবিতে দেখুন ওখানে "Twenty Fourteen" থিমটি একটিভ আছে।
নতুন থিম ইনস্টল
ওয়ার্ডপ্রেসের হাজার হাজার ফ্রি থিম পাওয়া যায়। গুগলে এ সার্চ দিয়ে ইচ্ছেমত একটি থিম ডাউনলোড করুন। "Themes" সাবমেনুতে গেলে "Add New" তে ক্লিক করলে নতুন থিম যোগ করার উইন্ডো আসবে (নিচের ছবির মত)। এই উইন্ডো থেকে "Upload Theme" ক্লিক করে নিজের থিমটি সিলেক্ট করে দিন এবং "Install Now" তে ক্লিক করে নতুন থিম ইনস্টল করুন। একবার থিম ইনস্টল করলেই ডিফল্ট থিমগুলির তালিকার সাথেই নতুন থিমটি দেখাবে এবং সেখানে মাউস নিয়ে গেলেই "Activate" লিংক পাবেন।
** ইচ্ছেমত অনেক থিম ইনস্টল এবং Activate করে সাইটের ফ্রন্টইন্ড দেখুন সম্পূর্ন পরিবর্তন হয়ে গেছে। ফ্রি থিমে যদি নিজের সব কাজ না হয় তখন নিজে নিজে তৈরী করতে হবে। এজন্য থিম ডেভলপমেন্ট শিখতে হবে। এইচটিএমএল, সিএসএস আর অল্প পিএইচপি জানলেই নিজে নিজে থিম তৈরী করা যায়। আমরা থিম ডেভলপমেন্ট এর উপর ভিডিও টিউটোরিয়াল দেব।
থিম কাস্টমাইজেশন
"Themes" সাবমেনুর পর "Customize" সাবমেনু থেকে নির্বাচিত থিমের রং, সার্চ বক্স কোথায় দেখাবে, বামে কি থাকবে, ক্যালেন্ডার থাকবে কিনা, থিমটিতে মেনু কিভাবে থাকবে, সম্প্রতি করা পোস্টগুলি কোথায় দেখাবে ইত্যাদি ২০/২৫ ধরনের জিনিসপত্র এখান থেকে ঠিক করে দেয়া যায়। নিচে কয়েকটির উদাহরন দেয়া হল
"Site Titile & Tagline" স্লাইডার থেকে ইনপুট বক্সদুটি পুরন করলে টেক্সক্টগুলি সাইটের টাইটেল হয়ে যাবে এবং ব্রাউজারে দেখাবে। আপনি যদি চান কোন টাইটেল না দেখাক তাহলে "Display Site Title & Tagline" চেকবক্সটি আনচেক করে দিন।
"Color" স্লাইডারটি খুলে সেখান থেকে পুরো সাইটের ব্যাকগ্রাউন্ড এর রং কেমন হবে সেটা ঠিক করা যায় এছাড়া টাইটেল এরও রং ঠিক করে দেয়া যায়, ব্রাউজারে তো টাইটেল এর রং দেখাবেনা তবে পেজে যখন দেখবে তখন রং দেখতে পাবে।
"Header Image" এখান থেকে সাইটের ফ্রন্টইন্ডের উপরে (হেডারে) যেকোন ছবি যোগ করতে পারেন, ব্যানারের মত। ১২৬০ x ২৪০ এই রেজুলেশনের ছবি দিলে সবচেয়ে ভাল মানানসই হবে। "Add ne image" বাটনে ক্লিক করে নতুন ছবি যোগ করতে হয়।
"Background Image" থেকে সাইটে চাইলে কোন ব্যাকগ্রাউন্ড ছবি দেখাতে পারেন। "Select Image" থেকে যে ছবি সিলেক্ট করে দিবেন সেটাই সাইটের ব্যাকগ্রাউন্ড হিসাবে দেখাবে।
"Widgets" টা গুরত্বপূর্ন। সাইটের ডানে বামে যেসব সাইডবার কিংবা ফাংশনালিটি দেখছেন এগুলি এক একটি উইজেট। যেমন সার্চ বক্স, Categories, সাম্প্রতিক মন্তব্য, আর্কাইভ বা সংগ্রহশালা, সম্প্রতি যোগ করা পোস্টগুলি ইত্যাদি। "Widgets" এ ক্লিক করুন আবার ৩টি স্লাইডার আসবে উইজেটের নিচের ছবির মত।
বাই ডিফল্ট ওয়ার্ডপ্রেসে যেসব উইজেট আছে সেগুলি এই ৩টি স্লাইডারে ক্লিক করে কাংখিত স্থানে বসাতে পারবেন। ৩টিতেই একই উইজেট পাবেন, ৩টি স্লাইডার বানানোর উদ্দেশ্য হল ৩টি জায়গায় এগুলি বসানো যাবে। যেমন "Primary Sidebar" থেকে সিলেক্ট করলে সেই উইজেট টি বামেদিকে, "Content Sidebar" থেকে যোগ করলে সেটা কনটেন্টে এবং "Footer Widget Area" থেকে দিলে ডানের সাইডবারে স্থাপন হবে। এই ৩টি স্লাইডারের স্থান পরিবর্তন করে যেকোন জায়গায় নেয়া যায় এমনকি নতুন স্লাইডার বানানো যায় তবে এগুলি থিম ডেভেলপমেন্টের সময় দেখাবো।
** যেকোন স্লাইডারে ক্লিক করুন তাহলে সেখানে থাকা উউজেটগুলির তালিকা দেখাবে যেমন আমাদের এই উদাহরনটিতে ৬টি উইজেট আছে বামে তাই "Primary Sidebar" এর তালিকায় সেই ৬টি দেখতে পাবেন। যেমন
তালিকা থেকে যেকোনটি ক্লিক করুন সেই উইজেট টির সংশ্লিষ্ট অপশনগুলি আসবে যেমন "Recent Post" গিয়ে দেখুন "Title" একটি বক্স আছে সেখানে যেটা দিবেন সেটাই সাম্প্রতিক পোস্টের (সাইটের ফ্রন্টইন্ডে) উপরে শিরোনাম হিসাবে দেখাবে। এরপর কয়টি করে পোস্ট দেখাতে চান সেটা ঠিক করতে পারবেন "Number of post to show" এই বক্সে যেকোন পরিমান সংখ্যা দিয়ে। "Display post date" চেকবক্সে টিক দিয়ে রাখলে প্রতিটি সাম্প্রতিক পোস্টের সাথে সেই পোস্টের তারিখটি দেখাবে। যদি চান এই উইজেটটি দেখাবেন না তাহলে একটু নিচেই "Remove" লিংকে ক্লিক করে মুছে দিতে পারেন।
এরপর আছে "Static Front Page" অপশন এটা সেটিংস থেকেও এডিট করা যায় তাই সেখানে দেখাব।
"Customize" এর পর আছে "Widgets" সাবমেনু। এখান থেকে ঐ কাজগুলি হবহু করা যাবে যেগুলি "Customize" এর সাবমেনু থেকে উপরে করে দেখালাম। নিচের ছবিতে দেখুন কিংবা http://localhost/tutorial/wp-admin/widgets.php লিংকে গিয়ে দেখুন ঐ জিনিসগুলিই এখানে দেয়া আছে।
এখন বলতে পারে একই জিনিস দুই জায়গা থেকে কেন করতে দিচ্ছে? উত্তর হচ্ছে "সহজ করার জন্য"। আসলে ওয়ার্ডপ্রেসের আগের ভার্সনগুলিতে "Customize" থেকে এসব কাজ করা যেতনা, মাত্র কয়েকটি কাজ করা যেত। আগে উইজেটের সকল কাজ "Widgets" সাবমেনু থেকেই করতে হত। এরুপ আরও অনেকগুলি কাজ আছে যেগুলি ওয়ার্ডপ্রেসে কয়েক জায়গা থেকে করা যায়।
(৭) কমেন্ট মেনু
http://localhost/tutorial/wp-admin/edit-comments.php এই লিংকে গেলে নিচের মত সব মন্তব্যের তালিকা আসবে। এই তালিকা থেকে যেকোন মন্তব্য মুছে দেয়া, সম্পাদনা, অনুমোদন ইত্যাদি সব করতে পারবেন।
সাইটের ফ্রন্টইন্ডে যদি মন্তব্য করার অপশন রাখেন (সেটিংস থেকে ঠিক করে দেয়া যায় যে পোস্টে মন্তব্য করতে পারবেনা কিনা) তাহলে যেকোন পোস্টে ইউজাররা মন্তব্য করলে সেই মন্তব্যগুলির তালিকা হলো এগুলি। কোন্ মন্তব্যটি কোন্ পোস্টের বিরীতে সেই পোস্টের লিংক কমেন্টের ডানেই থাকে।
** যে মন্তব্য সম্পাদনা করতে চান সেটার উপরে মাউস নিয়ে গেলে উপরের ছবির মত "Unapprove" (অনুমোদন করার জন্য), "Reply" (এখান থেকেই মন্তব্যে উত্র দেয়ার জন্য), "Quick Edit" (ক্লিক করলে টাইটেল সহ টুকিটাকি ডেটা এডিট করতে পারবেন এখানেই পেজ লোড ছাড়া), "Edit" (সরাসরি এডিট পেজে নিয়ে যাবে এবং সবকিছু এডিট করার অপশন আসবে), "Spam" (স্পাম হিসেবে মন্তব্যটিকে রিপোর্ট করে রাখতে পারেন), "Trash" (এটা মুছে দেয়ার কাছাকাছি, trash এ নিয়ে ফেলে দিবে এবং সেখান থেকে মুছে দিলে স্থায়ীভাবে মন্তব্যটি মুছে যাবে।)
** যদি একসাথে একাধিক মন্তব্য অনুমোদন, ডিলিট ইত্যাদি করতে চান তাহলে চেকবক্স দিয়ে কাংখিত মন্তব্যগুলি নির্বাচন করুন এবং উপরে (কিংবা নিচে) দেখুন "Bulk Action" ড্রপডাউন আছে, এখান থেকে প্রয়োজনীয়টি নির্বাচন করুন (যেমন অনুমোদন, অঅনুমোদন, স্পাম) এবং "Apply" বাটনে ক্লিক করুন।
(৬) পেজ মেনু
"Media" মেনুর পর আছে "Pages" মেনু। এই লিংকে গেলে সব পেজের তালিকা দেখাবে যেগুলি আগে তৈরী করেছেন। পোস্টের মত নতুন পেজ তৈরী করতে হয়। পেজ তালিকা থেকে যেকোন পেজ এডিট ডিলিট করতে পারবেন।
যদি একাধিক পোস্ট একসাথে ডিলিট করতে চান তাহলে প্রতিটি পেজের বাদিকে যে চেকবক্স আছে সেখান থেকে কাংখিত পেজগুলি সিলেক্ট করে "Bulk Actions" ড্রপডাউন থেকে "Trash" অপশনটি সিলেক্ট করে "Apply" বাটনে ক্লিক করুন। যদি অনেক পেজ থাকে তাহলে "All Dates" অপশন সম্বলিত যে ড্রপডাউনটি আছে সেখান থেকে তারিখ অনুযায়ী ফিল্টার করে দেখতে পারবেন। এছাড়া পেজের উপর মাউস নিয়ে গেলেই উপরের ছবির মত "Edit", "Trash", "View" ইত্যাদি লিংক দেখতে পারবেন। আর লিংক দেখে বোঝাই যাচ্ছে কোন লিংকে গেলে কি ধরনের কাজ করতে পারবেন। "Quick Edit" এ ক্লিক করলে ওখানেই এজাক্স দিয়ে টাইটেলটি এডিট করার বক্স দিয়ে দিবে।
সকল পেজই এক একটি পোস্ট, page টাইপের পোস্ট। পোস্ট তৈরী করলে ব্লগটিতে দেখাবে আর পেজ তৈরী করলে মেনুতে লিংক দেয়া যায়। ধরুন আপনার সাইটে ১০ টি মেনু থাকবে, তাহলে ১০ টি পেজ তৈরী করে প্রতিটি মেনুতে লিংক দিয়ে দিতে হয়। "Appearance" এর টিউটোরিয়ালে এগুলি বিস্তারিত দেখানো হবে।
পোস্টের মতই এখানেও "Add New" লিংকে ক্লিক করলে নতুন একটি পেজ তৈরী করতে পারবেন।
এখানে ডানে দেখুন Template একটা ড্রপডাউন আছে, এটা খুব গুরত্বপূর্ন এখানে আপনার তৈরী যেকোন পেজ টেম্পপ্লেট সিলেক্ট করে দিতে পারবেন। বাই ডিফল্ট "Default Template" সিলেক্ট করা থাকে এবং আপনার নিজের তৈরী কোন টেমপ্লেট থাকলে এই্ ড্রপডাউনে দেখায়। কিভাবে নতুন পেজ টেমপ্লেট তৈরী করা যায় এটা আমরা থিম ডেভলপমেন্ট এর টিউটোরিয়ালে দেখাবো।